Hot Widget

Showing posts with label কক্সবাজার. Show all posts
Showing posts with label কক্সবাজার. Show all posts

লিংক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০কেজি গাঁজা উদ্ধার! মহিলা আটক

 

ডেক্স নিউজ:

কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের ০৪নং ওয়ার্ডস্থ লিংকরোড শ্যামলী বাস কাউন্টারের সামনে একজন ব্যক্তি মাদকদ্রব্য বিক্রয় বা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। 

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একজন মহিলা সাথে একটি কাপড়ের ব্যাগসহ কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তির দেহ ও সাথে থাকা কাপড়ের ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ১০ (দশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মহিলা মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় জান্নাত আরা,(রোহিঙ্গা), স্বামী-মোঃ সিদ্দিক, পিতা-ছিদ্দিক আহম্মেদ, মাতা-ধলি বিবি, সাং-কুতুপালং রেজিষ্ট্যার্ড ক্যাম্প, ব্লক-এফ, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জান্নাত আরা নিজেকে রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে এবং তার নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে। সে মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক চোরাই পথে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ এবং দীর্ঘদিন যাবত এ সকল মাদক কক্সবাজার এর বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে আসছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।   

বৈঠক শেষ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি


সৈয়দ আলম, টেকনাফ (কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ৪৯ রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে গেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট জেটি দিয়ে কাঠের ট্রলারে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন প্রতিনিধি দলটি। এদিন জেটি দিয়ে মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফ সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে ১৬০ রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে মিয়ানমারের এই প্রতিনিধি দলটি। ওইদিন দলটির ৩৬ সদস্য সকালে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কাঠের ট্রলারে করে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আসেন। ট্রলারে ১১ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন, যারা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

বুধবার বিকালে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ফিরে গেছে উল্লেখ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজা বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ নিয়ে তারা (প্রতিনিধি দল) মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। যে কাজের জন্য তারা এসেছিলেন সেটি সম্পন্ন করেছেন। এখান থেকে যা যা তথ্য পেলেন তা তাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি।টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা নুর বশর জানান, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রায় একই রকমের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। আজ প্রায় ৪৯ পরিবারের প্রায় ১০০ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন তারা।

সাক্ষাৎ নেওয়া রোহিঙ্গারা বলেন,এখানে (বাংলাদেশে) আমরা আর থাকতে চাই না। নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এমনভাবে যেতে চাই যাতে আর মিয়ানমার থেকে ফিরতে না হয়।

মঙ্গলবার মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির রাখাইন প্রাদেশিক সরকারের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর স নাইং। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহা-পরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইনুল কবির বলেছেন, প্রত্যাবাসন একটা প্রক্রিয়া। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী এই আলোচনা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি, যেন রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আজ আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। কালও আবার আসবে এই প্রতিনিধি দল।

এর আগে, ১৫ মার্চ ও ২৫ মে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল দুই দফায় বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৭০০ রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় দলটি। তবে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ দেখতে ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে।

এদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল। এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ওই তালিকা থেকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয় পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে। এর মধ্যে ৭১১ জনকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। সে সময় ৪২৯ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতেই মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল।

আরসা প্রধান আতাউল্লা'র একান্ত সহকারী নোমান গ্রেফতার

 


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ প্রতিনিধি

আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং থেকে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বাজার সংলগ্ন কোনারপাড়া গ্রামের তুমব্রু মধ্যম পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে ইটের রাস্তা এলাকায় মায়ানমারের আরসা ও আল ইয়াকিন গ্রুপের বিচ্ছিন্নতাবাদী, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী খুনি, লুটেরা, ধর্ষক, ডাকাত, মাদক চোরাকারবারী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 
উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা মুহুর্মুহু গুলিবর্ষন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আক্রমণের ফলে অভিযানে থাকা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লীডার জনাব রিজওয়ান রুশদী নৃশংসভাবে হত্যা এবং একই সাথে র‌্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া’কে গুরুতর আহত করা হয়। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। 

র‌্যাব-১৫ কর্তৃক বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী হাফেজ নুর মোহাম্মদ কে গত ২১ জুলাই ২০২৩ তারিখ এবং আসামী রহিমুল্লাহ প্রকাশ ওরফে মুছা কে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি র‌্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা নজরদারী, তৎপরতা ও অনুসন্ধানের একপর্যায়ে বিশ্বস্ত সূত্রে র‌্যাব জানতে পারে, উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন যাবত পলাতক এজাহারনামীয় আসামী নোমান চৌধুরী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী (২৭), পিতা-সাব্বির আহমেদ, মাতা-আনোয়ার বেগম, সাং-তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইন, ০২নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম ইউনিয়ন, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানের সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার জনাব রিজওয়ান রুশদি হত্যাকান্ড এবং র‌্যাবের কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহতের হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে বলে অকপটে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোহাম্মদ এরশাদ @ নোমান চৌধুরী স্বীকার করে যে, আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র সাথে তার পরিচয় হয়। আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসা’র বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করে। সে আরসা’র জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়। 

২০১৬ সালের ০৯ অক্টোবরে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।