Hot Widget

Showing posts with label সাবরাং ইউনিয়ন. Show all posts
Showing posts with label সাবরাং ইউনিয়ন. Show all posts

টেকনাফে ১হাজার ৫৯কেজি আইস ও ২লাখ ৬০হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

 

নোমান অরুপ: টেকনাফ

কক্সবাজার-টেকনাফ সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযানে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া ১ হাজার ৫৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ২ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফের সাবরাং ও শাহ পরীর দ্বীপ বিওপির পৃথক দুটি টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে এসব মাদক দ্রব্য উদ্ধারে সক্ষম হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। 

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গোপন খবর ছিল মিয়ানমার থেকে সাবরাং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন খবরে শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় সাবরাং বিওপির একটি টহল দল অবস্থান করেন। পরে বিজিবি টহল দল নাফ নদী পার হয়ে ৪ ব্যক্তিকে কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ নিয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেড়িবাঁধের দিকে আনুমানিক ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার আসতে দেখে  চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেলে তারা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাঁধে থাকা ব্যাগগুলো মাটিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে চোরাকারবারিরা রাতে পাশের গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরে টহল দল সেখানে তল্লাশি করে চারটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে দুই লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

অধিনায়ক বলেন,একই রাতে শাহপরীর দ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবির টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে ১ হাজার ৫৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 

অভিযান পরিচালনাকালে চোরাকারবারিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এসব চোরাকারবারিদের শনাক্তের জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দারা কাজ করছেন।

সাবরাং লেজিরপাড়ার হাফেজ উল্লাহর স্ত্রী রোজিনা ১ লাখ ইয়াবাসহ আটক


 
মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ প্রতিনিধি

কক্সবাজার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের লেজিরপাড়া এলাকায় এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ একজন মহিলা মাদক কারবারী র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার।

সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান রাত ১১ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঘর থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মহিলা মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব এবং অপর এক মাদক কারবারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি উল্লেখিত বাড়ীটি তাদের নিজেদের বলে জানায় ও উক্ত বসত ঘরের খাটের নিচে সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মহিলার দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে সর্বমোট ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত মহিলা মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় রুজিনা আক্তার (৩০), স্বামী-হাফিজ উল্লাহ, পিতা-মৃত অলি আহমদ, মাতা-হালেমা খাতুন, সাং-লেজিরপাড়া, ০৫নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক মাদক কারবারী সম্পর্কে ভাই-বোন। তারা বেশ কিছু দিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানাবিধ অভিনব পন্থায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা চালান সরবরাহ বিক্রয় করে আসছে। 

মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজের হেফাজতে বসত ঘরে মজুদ করে এবং পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালান স্থানীয় এলাকায় বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।

উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।