Hot Widget

Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts
Showing posts with label আন্তর্জাতিক. Show all posts

মালদ্বীপে সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছে ;এম জিয়াউল (সিআইপি)


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ প্রতিনিধি:-

অনুষ্ঠিত হওয়া মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট (এসএপিএস) ও বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে রাজধানী মালের শাংগ্রি-লা হোটেল জেইনে শ্রীলঙ্কা কর্তৃক সাউথ এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত হয়। এই অনুষ্ঠানে বিজনেস এবং সোশ্যাল সার্ভিসে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৮টি দেশের ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার সেরাদের সম্মাননা ও পুরস্কার দিয়ে থাকে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। অনুষ্ঠিত হওয়া মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট (এসএপিএস) ও বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩। এতে বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও ভুটান অংশ নিয়েছেন। 

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন, ছয়টি কোম্পানির ১০ জন বাংলাদেশিদের মধ্যেই রয়েছেন,টেকনাফ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মধ্যম জালিয়া পাড়ার (আমির হোসেন মেম্বারের ছেলে) আমির গ্রুপের কর্ণধার, আমির ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হাজ্বী মোহাম্মদ জিয়াবুল সিআইপি। উক্ত পুরস্কার গ্রহণ করেন,মালদ্বীপ সরকারের বিভিন্ন গন্যমান্ন ব্যক্তিদ্বয়ের কাছ থেকে। 

হাজ্বী মোহাম্মদ জিয়াবুল (সি,আই,পি) একজন তরুণ উদ্যোক্তা। তিনি মেসার্স বিসমিল্লাহ্ ট্রেড সেন্টার, মেসার্স আমির এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স আমির ফিলিং স্টেশন এবং মেসার্স মক্কা সল্ট এর স্বতাধীকারী,প্রতিষ্ঠাতা- আমির ফাউন্ডেশন টেকনাফ,কক্সবাজার। 

স্থানীয় সূত্রে জানতে চাইলে বলেন,তিনি মূলত ব্যবসা-বাণিজ্য ও সমাজ-সেবায় সর্বদা অবদান রেখে থাকেন, উনার উত্তরোত্তর সফলতা এবং নেক হায়াত কামনা করেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

বিদেশের মাটিতে পুরস্কার অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন পুরস্কার গ্রহণ করতে আসা ব্যক্তিরা। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীরা।

বৈঠক শেষ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি


সৈয়দ আলম, টেকনাফ (কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ৪৯ রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে গেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট জেটি দিয়ে কাঠের ট্রলারে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন প্রতিনিধি দলটি। এদিন জেটি দিয়ে মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফ সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে ১৬০ রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে মিয়ানমারের এই প্রতিনিধি দলটি। ওইদিন দলটির ৩৬ সদস্য সকালে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কাঠের ট্রলারে করে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আসেন। ট্রলারে ১১ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন, যারা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

বুধবার বিকালে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ফিরে গেছে উল্লেখ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজা বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ নিয়ে তারা (প্রতিনিধি দল) মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। যে কাজের জন্য তারা এসেছিলেন সেটি সম্পন্ন করেছেন। এখান থেকে যা যা তথ্য পেলেন তা তাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি।টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা নুর বশর জানান, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রায় একই রকমের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। আজ প্রায় ৪৯ পরিবারের প্রায় ১০০ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন তারা।

সাক্ষাৎ নেওয়া রোহিঙ্গারা বলেন,এখানে (বাংলাদেশে) আমরা আর থাকতে চাই না। নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এমনভাবে যেতে চাই যাতে আর মিয়ানমার থেকে ফিরতে না হয়।

মঙ্গলবার মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির রাখাইন প্রাদেশিক সরকারের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর স নাইং। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহা-পরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইনুল কবির বলেছেন, প্রত্যাবাসন একটা প্রক্রিয়া। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী এই আলোচনা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি, যেন রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আজ আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। কালও আবার আসবে এই প্রতিনিধি দল।

এর আগে, ১৫ মার্চ ও ২৫ মে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল দুই দফায় বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৭০০ রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় দলটি। তবে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ দেখতে ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে।

এদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল। এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ওই তালিকা থেকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয় পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে। এর মধ্যে ৭১১ জনকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। সে সময় ৪২৯ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতেই মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল।