Hot Widget

Showing posts with label উখিয়া. Show all posts
Showing posts with label উখিয়া. Show all posts

শাহীনা বদিকে ভালোবাসা দিয়ে সিক্ত করলেন উখিয়া-টেকনাফের মানুষ



মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,সৈয়দ আলম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার -৪ (উখিয়া -টেকনাফ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি'র স্ত্রী বর্তমান সাংসদ শাহিনা আক্তারকে বরণ করে নিয়েছে উখিয়া-টেকনাফের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় উখিয়া- টেকনাফের জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে কক্সবাজার থেকে রওনা দেন। সেখান থেকে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যাওয়ার পথে রাস্তার দু’পাশে হাজার হাজার জনতার ঢল নেমেছিলো।

শোভাযাত্রা নিয়ে উখিয়ায় মরিচ্যা লাল ব্রিজ থেকে রওনা হয়ে টেকনাফ পৌঁছান শহিন বদি। পরে টেকনাফে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শাহিনা আক্তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বলেন,প্রধানমন্ত্রী আমাকে পুনরায় উখিয়া-টেকনাফের মানুষের সেবা করার জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন।

সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ তিনি আমাদের পরিবারের প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমিও তার আস্থার প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি, আগামী নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় কর্মী-সমর্থকবৃন্দ নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করে যাবেন। দলের নেতাকর্মী ও ভক্ত-অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে এবং নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে হবে। বসে থাকা যাবে না। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকেলে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম বাহাদুরের সভাপতিত্বে এক পথ সভায় মিলিত হয়। এ সময় নেতা-কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন বর্তমান সাংসদ নৌকার মনোনীত প্রার্থী শাহিন আক্তার ও সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন - টেকনাফ পৌর আঃ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস শুক্কুর সিআইপি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরোয়ার আলম, শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাজাহান মিয়া, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোহিনুর আক্তার, সাধারণ সম্পাদক গোলাপজান আক্তার গোলাপি, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসাইন, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন প্রমুখ।

আরসা প্রধান আতাউল্লা'র একান্ত সহকারী নোমান গ্রেফতার

 


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ প্রতিনিধি

আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং থেকে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বাজার সংলগ্ন কোনারপাড়া গ্রামের তুমব্রু মধ্যম পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে ইটের রাস্তা এলাকায় মায়ানমারের আরসা ও আল ইয়াকিন গ্রুপের বিচ্ছিন্নতাবাদী, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী খুনি, লুটেরা, ধর্ষক, ডাকাত, মাদক চোরাকারবারী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 
উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা মুহুর্মুহু গুলিবর্ষন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আক্রমণের ফলে অভিযানে থাকা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লীডার জনাব রিজওয়ান রুশদী নৃশংসভাবে হত্যা এবং একই সাথে র‌্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া’কে গুরুতর আহত করা হয়। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। 

র‌্যাব-১৫ কর্তৃক বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী হাফেজ নুর মোহাম্মদ কে গত ২১ জুলাই ২০২৩ তারিখ এবং আসামী রহিমুল্লাহ প্রকাশ ওরফে মুছা কে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি র‌্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা নজরদারী, তৎপরতা ও অনুসন্ধানের একপর্যায়ে বিশ্বস্ত সূত্রে র‌্যাব জানতে পারে, উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন যাবত পলাতক এজাহারনামীয় আসামী নোমান চৌধুরী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী (২৭), পিতা-সাব্বির আহমেদ, মাতা-আনোয়ার বেগম, সাং-তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইন, ০২নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম ইউনিয়ন, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানের সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার জনাব রিজওয়ান রুশদি হত্যাকান্ড এবং র‌্যাবের কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহতের হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে বলে অকপটে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোহাম্মদ এরশাদ @ নোমান চৌধুরী স্বীকার করে যে, আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র সাথে তার পরিচয় হয়। আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসা’র বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করে। সে আরসা’র জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়। 

২০১৬ সালের ০৯ অক্টোবরে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।