Hot Widget

Showing posts with label সেন্টমার্টিন. Show all posts
Showing posts with label সেন্টমার্টিন. Show all posts

সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)


পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের থাকার দু’দিন পর এই নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।


বৈরী আবহাওয়ার কারনে দ্বীপে আটকা পড়া ৪ শতাধিক পর্যটকরা ফিরবেন বলে জানা গেছে।


শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও বার আউলিয়া নামের দু’টি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনদ্বীপে উদ্দেশ্যর ছেড়ে যায়।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।


তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়া এবং সমুদ্র বন্দর থেকে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার করা হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও বারো আউলিয়া নামের দু’টি পর্যটক বাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্য ছেড়ে যান।


এর আগে ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সমুদ্র বন্দর সমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ ও ৬ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বৃহস্পতিবার থেকে নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতের বার্তায় বৃহস্পতিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।এবং বুধবার টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট ওইদিন সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটল্যান্টিকে ৮৯ ও এমভি বার আউলিয়া করে ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। 


পরে জাহাজে করে বেলা তিনটায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাত যাপনের জন্য ছিলেন দু’শতাধিক পর্যটক।ফলে দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ছিল। 


শনিবার থেকে সমুদ্র বন্দর থেকে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার হলে শনিবার সকাল ১০টার দিকে দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৬২ জন পর্যটক নিয়ে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কোন পর্যটক ছাড়া বারো আউলিয়া জাহাজ দুটি সেন্টমাটিন উদ্দেশ্য ছেড়ে যানা।এ জাহাজ দুটি দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটক নিয়ে ফিরবেন বলে তিনি জানায়।


সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল,এ কারনে দ্বীপে পর্যটকরা আটকা পড়েছিল। 


খবর পেয়েছি টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে দুটি জাহাজ আসছেন।জাহাজ দুটি আসলে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরে যাবেন বলে তিনি জানান।

সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ;দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন


সৈয়দ আলম,টেকনাফ।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনও জাহাজ ছেড়ে না যাওয়ায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নৌপথে যাতায়াতে ঝুঁকি রয়েছে। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্দেশনা অনুযায়ী পুনরায় এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

সেন্টমার্টিনের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের জানান, জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণার আগে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের জলযান চলাচল করবে না, তাও বলা হয়েছে। এরপরও দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে গেছেন।

তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, যেহেতু তারা নির্দেশনা না মেনে দ্বীপে থেকে গেছেন।তাই পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে। তাদের আনতে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,মাইকিং করার পরও পর্যটকরা তাদের ইচ্ছাতে থেকে গেছেন, এখানে থাকা নিয়ে কোনো ভয় নেই। স্থানীয়রা যেভাবে থাকছি, পর্যটকরাও সেভাবে নিরাপদে থাকতে পারবেন।