Hot Widget

টেকনাফ প্রেস ক্লাবে দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত


প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

কক্সবাজার টেকনাফে গণমানুষের দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। 

শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের হল রুমে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। 

দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ আরাফাত সানি'র সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 


উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জাবেদ ইকবাল চৌধুরী। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আশেক উল্লাহ ফারুকী, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, দৈনিক মানবজমিন এর প্রতিনিধি আমান উল্লাহ কবির, দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি নুর হাকিম আনোয়ার, দৈনিক যুগান্তর/এশিয়ান টিভি'র প্রতিনিধি নাছির উদ্দীন রাজ, দৈনিক আমার সময় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন হিরু, আনন্দ টিভির প্রতিনিধি মো. শহিদুল্লাহ, দৈনিক অধিকার প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, দৈনিক গণকণ্ঠের প্রতিনিধি এম এ হাসান, দৈনিক রূপসী গ্রাম প্রতিনিধি নুরুল আলম,দৈনিক ভোরের পত্রিকার প্রতিনিধি মো. ইউনুছ অভি, দৈনিক লাল সবুজের দেশের প্রতিনিধি মো. ফারুক বাবুল,, দৈনিক দৈনন্দিনের প্রতিনিধি ইব্রাহিম মাহমুদ, দৈনিক সমুদ্রকন্ঠের টেকনাফ প্রতিনিধি আব্দুর রহমান, টিটিএন এর টেকনাফ প্রতিনিধি নোমান প্রমুখ।


সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, অপ-সাংবাদিকতা পরিহার করে সাংবাদিকদের আরও সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজের অন্যায়, অত্যাচার ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান রিপোর্ট করতে হবে।

সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)


পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের থাকার দু’দিন পর এই নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।


বৈরী আবহাওয়ার কারনে দ্বীপে আটকা পড়া ৪ শতাধিক পর্যটকরা ফিরবেন বলে জানা গেছে।


শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও বার আউলিয়া নামের দু’টি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনদ্বীপে উদ্দেশ্যর ছেড়ে যায়।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।


তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়া এবং সমুদ্র বন্দর থেকে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার করা হলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও বারো আউলিয়া নামের দু’টি পর্যটক বাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্য ছেড়ে যান।


এর আগে ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সমুদ্র বন্দর সমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ ও ৬ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বৃহস্পতিবার থেকে নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতের বার্তায় বৃহস্পতিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।এবং বুধবার টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট ওইদিন সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটল্যান্টিকে ৮৯ ও এমভি বার আউলিয়া করে ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। 


পরে জাহাজে করে বেলা তিনটায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাত যাপনের জন্য ছিলেন দু’শতাধিক পর্যটক।ফলে দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ছিল। 


শনিবার থেকে সমুদ্র বন্দর থেকে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার হলে শনিবার সকাল ১০টার দিকে দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৬২ জন পর্যটক নিয়ে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কোন পর্যটক ছাড়া বারো আউলিয়া জাহাজ দুটি সেন্টমাটিন উদ্দেশ্য ছেড়ে যানা।এ জাহাজ দুটি দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটক নিয়ে ফিরবেন বলে তিনি জানায়।


সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল,এ কারনে দ্বীপে পর্যটকরা আটকা পড়েছিল। 


খবর পেয়েছি টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে দুটি জাহাজ আসছেন।জাহাজ দুটি আসলে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরে যাবেন বলে তিনি জানান।

টেকনাফে বিজিবি'র পৃথক অভিযানে চালিয়ে ইয়াবা ও আইস উদ্ধার


আরাফাত সানি,টেকনাফ 

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ পিস ইয়াবা ও ২ কেজি ১২৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করছে।

মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে টেকনাফ সদরের নাজির পাড়া এলাকার আলি আকবরের মাছের ঘের সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ও টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়া'স্থ বরফ কল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১২৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, উদ্ধারকৃত মাদকের সাথে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব না হলেও, তাদের সনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়ানের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বৈঠক শেষ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি


সৈয়দ আলম, টেকনাফ (কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ৪৯ রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে গেছে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট জেটি দিয়ে কাঠের ট্রলারে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন প্রতিনিধি দলটি। এদিন জেটি দিয়ে মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফ সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউসে ১৬০ রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে মিয়ানমারের এই প্রতিনিধি দলটি। ওইদিন দলটির ৩৬ সদস্য সকালে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে কাঠের ট্রলারে করে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ আসেন। ট্রলারে ১১ জন মাঝিমাল্লা ছিলেন, যারা সবাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

বুধবার বিকালে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল ফিরে গেছে উল্লেখ করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছু দৌজা বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎ নিয়ে তারা (প্রতিনিধি দল) মিয়ানমারে ফিরে গেছেন। যে কাজের জন্য তারা এসেছিলেন সেটি সম্পন্ন করেছেন। এখান থেকে যা যা তথ্য পেলেন তা তাদের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে বলে জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি।টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা নুর বশর জানান, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রায় একই রকমের বিষয় জানতে চাওয়া হয়। আজ প্রায় ৪৯ পরিবারের প্রায় ১০০ জন মানুষের সাক্ষাৎকার নেন তারা।

সাক্ষাৎ নেওয়া রোহিঙ্গারা বলেন,এখানে (বাংলাদেশে) আমরা আর থাকতে চাই না। নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু এমনভাবে যেতে চাই যাতে আর মিয়ানমার থেকে ফিরতে না হয়।

মঙ্গলবার মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির রাখাইন প্রাদেশিক সরকারের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর স নাইং। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহা-পরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইনুল কবির বলেছেন, প্রত্যাবাসন একটা প্রক্রিয়া। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী এই আলোচনা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি, যেন রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় তাদের দেশে ফেরত যেতে পারে। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আজ আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে। কালও আবার আসবে এই প্রতিনিধি দল।

এর আগে, ১৫ মার্চ ও ২৫ মে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল দুই দফায় বাংলাদেশে আসে। সে সময় প্রায় ৭০০ রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে মিয়ানমার ফিরে যায় দলটি। তবে রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিবেশ দেখতে ৫ মে বাংলাদেশ সরকার ও রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল রাখাইন সফর করে।

এদিকে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আট লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছিল। এরপর মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি ফিরতি তালিকা পাঠানো হয়। গত বছর জানুয়ারিতে ওই তালিকা থেকে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৪০ জনকে বাছাই করা হয় পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে। এর মধ্যে ৭১১ জনকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সম্মতি দিলেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। সে সময় ৪২৯ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই করতেই মিয়ানমারের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছিল।

আরসা প্রধান আতাউল্লা'র একান্ত সহকারী নোমান গ্রেফতার

 


মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ,টেকনাফ প্রতিনিধি

আরসা’র শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র একান্ত সহকারী এবং অর্থ সমন্বয়ক মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরীকে কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং থেকে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার

গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ঘুমধুম ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বাজার সংলগ্ন কোনারপাড়া গ্রামের তুমব্রু মধ্যম পাড়া মসজিদের দক্ষিণ পাশে ইটের রাস্তা এলাকায় মায়ানমারের আরসা ও আল ইয়াকিন গ্রুপের বিচ্ছিন্নতাবাদী, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী খুনি, লুটেরা, ধর্ষক, ডাকাত, মাদক চোরাকারবারী ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা ও র‌্যাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 
উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা মুহুর্মুহু গুলিবর্ষন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আক্রমণের ফলে অভিযানে থাকা রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্কোয়াড্রন লীডার জনাব রিজওয়ান রুশদী নৃশংসভাবে হত্যা এবং একই সাথে র‌্যাব সদস্য কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া’কে গুরুতর আহত করা হয়। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। 

র‌্যাব-১৫ কর্তৃক বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী হাফেজ নুর মোহাম্মদ কে গত ২১ জুলাই ২০২৩ তারিখ এবং আসামী রহিমুল্লাহ প্রকাশ ওরফে মুছা কে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি র‌্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা নজরদারী, তৎপরতা ও অনুসন্ধানের একপর্যায়ে বিশ্বস্ত সূত্রে র‌্যাব জানতে পারে, উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন যাবত পলাতক এজাহারনামীয় আসামী নোমান চৌধুরী কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী (২৭), পিতা-সাব্বির আহমেদ, মাতা-আনোয়ার বেগম, সাং-তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইন, ০২নং ওয়ার্ড, ঘুমধুম ইউনিয়ন, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

গত ১৪ নভেম্বর ২০২২ তারিখে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র‌্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানের সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার জনাব রিজওয়ান রুশদি হত্যাকান্ড এবং র‌্যাবের কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহতের হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে বলে অকপটে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী মোহাম্মদ এরশাদ @ নোমান চৌধুরী স্বীকার করে যে, আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র সাথে তার পরিচয় হয়। আরসার হয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করার ফলস্বরূপ আতাউল্লাহ তাকে তার একান্ত সহকারী ও সার্বক্ষনিক অস্ত্রধারী বডিগার্ড হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়াও হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরসার জন্য প্রেরিত অর্থের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে এবং প্রাপ্ত অর্থ আরসা’র বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের মাঝে পৌঁছে দেয় বলে সে স্বীকার করে। সে আরসা’র জন্য ইউনিফরমের কাপড়, ঔষধ সামগ্রী, ওয়াকিটকি, ল্যান্ড মাইন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা-কাটা করে বলে জানায়। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে বলে সে জানায়। 

২০১৬ সালের ০৯ অক্টোবরে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে

 


মোঃ আরাফাত সানি 
সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নানা জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ৭ মাসের মাথায় অবশেষে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে।

আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট ছেড়ে যায় বার আউলিয়া নামের একটি যাত্রীবাহী জাহাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছাবে জাহাজ'টি। কোন ধরনের সমস্যা না হলে বিকাল ৩ টার দিকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসবে জাহাজটি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আদনান চৌধুরী জানান, পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে বার আউলিয়া নামের একটি পর্যটকবাহী জাহাজ ৫১৭ পর্যটক নিয়ে দমদমিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। আবহাওয়া খারাপ হলে জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জাহাজটি এক সপ্তাহের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরে বৈঠকের মাধ্যমে এটিসহ অন্যান্য জাহাজ চলাচল করবে কি-না সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এর আগের দিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করে। বার আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমাদের জাহাজ পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে অনলাইনে অনেক টিকেট বুকিং হয়েছে।

প্রসঙ্গত, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই রুটে ১৬ বছর ধরে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নাফনদীর বিভিন্ন জায়গায় বালুচর জেগে উঠে। নাব্যতা সংকট সহ মাঝে মধ্যে জাহাজ আটকানোর ঘটানা ঘটে থাকে।

সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ;দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন


সৈয়দ আলম,টেকনাফ।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনও জাহাজ ছেড়ে না যাওয়ায় কমপক্ষে দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, সাগর উত্তাল রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নৌপথে যাতায়াতে ঝুঁকি রয়েছে। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সব ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্দেশনা অনুযায়ী পুনরায় এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

সেন্টমার্টিনের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের জানান, জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণার আগে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করা পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের জলযান চলাচল করবে না, তাও বলা হয়েছে। এরপরও দেড় শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে গেছেন।

তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, যেহেতু তারা নির্দেশনা না মেনে দ্বীপে থেকে গেছেন।তাই পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে। তাদের আনতে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,মাইকিং করার পরও পর্যটকরা তাদের ইচ্ছাতে থেকে গেছেন, এখানে থাকা নিয়ে কোনো ভয় নেই। স্থানীয়রা যেভাবে থাকছি, পর্যটকরাও সেভাবে নিরাপদে থাকতে পারবেন।